নক্ষত্ররাজির সংঘর্ষের ফলেই সোনা!
উচ্চ ঘনত্বসম্পন্ন মৃত নক্ষত্রগুলোর মধ্যে মহাজাগতিক সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সোনার মতো একধরনের পদার্থ গঠিত হয়। আর সেই পদার্থই হয়তো পৃথিবীতে চলে এসেছে। আর আমরা সেটিকে মূল্যবান ধাতু হিসেবে ব্যবহার করি। নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। মহাবিশ্বে সোনার উৎপত্তির উৎস নিয়ে রহস্য রয়েছে। কারণ, এ পদার্থ কোনো নক্ষত্রের অভ্যন্তরে কার্বন বা লোহার মতো হালকা বস্তুর সমন্বয়ে তৈরি হয় না। এবার হয়তো সেই রহস্যের একটা সমাধানে পৌঁছানো যাবে। নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, দুটি নিউট্রন তারকার সংঘর্ষের ফলে মূল্যবান ধাতুটির উৎপত্তি হতে পারে। বিস্ফোরিত নক্ষত্রগুলোর অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ও উচ্চমাত্রায় ঘন পদার্থের সমন্বয়ে হয়তো সোনা তৈরি হয়।যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক এডো বার্গার বলেন, তাঁদের আনুমানিক হিসাবে দুটি নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষে বিপুল পরিমাণ সোনা তৈরি হয়, যার পরিমাণ ১০টি চাঁদের ভরের কাছাকাছি। প্রয়াত মার্কিন জ্যোতির্বিদ কার্ল সেগানের মতে, আমরা সবাই নক্ষত্র থেকে উদ্ভূত। আর একাধিক নক্ষত্রের সংঘর্ষ থেকে আমাদের অলংকারগুলো তৈরি হয়েছে। বার্গার ও তাঁর সহযোগী গবেষকেরা গামা রশ্মির ক্ষুদ্র বিকিরণ ও বিস্ফোরণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এ বিস্ফোরণে মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল আলো সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করা হয়। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) একটি নভোযান পৃথিবীকে আবর্তনকালে গত মাসে সেই দীপ্তি পর্যবেক্ষণ করে। ওই গামা-বিস্ফোরণ পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে সম্পন্ন হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র এক সেকেন্ডের ১০ ভাগের দুই অংশেরও কম। আর সেই বিস্ফোরণের ফলে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে অবলোহিত রশ্মির দ্যুতি। গবেষকেরা মনে করেন, ‘অদ্ভুত কোনো তেজস্ক্রিয় বস্তুই’ ওই দ্যুতির উৎস। আর সেই বস্তু নিউট্রনসমৃদ্ধ নক্ষত্ররাজির সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয় এবং মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে সোনার পরিমাণ সীমিত হওয়ার কারণ মহাবিশ্বেও বস্তুটির মোট পরিমাণ কম। গামা-রশ্মির বিস্ফোরণে সৌরভরের ১ শতাংশ পরিমাণ বস্তু নির্গত হয়, যার কিছু অংশ সোনায় রূপ নেয়।অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স সাময়িকীতে প্রকাশের জন্য গবেষণাটির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ফক্সনিউজ।
চেনা পৃথিবীর অচেনা ছবি
সৌরজগতের প্রায় দুই প্রান্ত থেকে তোলা পৃথিবীর দুটি ছবি প্রকাশ করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শনি ও বুধ গ্রহ প্রদক্ষিণরত
দুটি মহাকাশযান থেকে একই দিন ১৯ জুলাই ছবি দুটি তোলা হয়।
একটি ছবি তুলেছে পৃথিবী থেকে ১৫০ কোটি কিলোমিটার দূরের শনি গ্রহ প্রদক্ষিণ
করতে থাকা ক্যাসিনি মহাকাশযান। ছবিটিতে আমাদের গ্রহকে ছোট একটি নীল বিন্দুর
মতো মনে হয়। চেনা অন্য যেকোনো ছবির চেয়ে এখানে পৃথিবীকে ছোট ও মলিন দেখা
যায়।
একই দিন পৃথিবীর প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ মাইল দূরের বুধ গ্রহকে প্রদক্ষিণরত
মেসেনজার মহাকাশযান থেকে আরেকটি ছবি তোলা হয়। এ ছবিতে পৃথিবী ও চাঁদকে এক
পিক্সেলেরও (ডিজিটাল ছবির ক্ষুদ্রতম একক) চেয়ে ছোট দেখা যায়। তবে তা
নৈকট্যের কারণে ক্যাসিনির তোলা ছবির তুলনায় বড়। রয়টার্স।
চাঁদের পাহাড়
রাতের
আকাশে মানুষ যখনই তাকিয়েছে তখনই তার একবার চাঁদকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছে।
কী চমৎকার চাঁদ! জোছনায় এই চাঁদ আরও সুন্দর। চাঁদকে আমরা আদর করে ডাকি
চাঁদমামা। ছেলেবেলায় চাঁদমামার গল্প শুনে কতবার যে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে তার
কোন গোনাগুনতি নেই। চাঁদকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করার পাশাপাশি মানুষের চাঁদে
যেতেও ইচ্ছে হয়েছে।
মানুষের এই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস
এড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর সংক্ষেপে নাম নাসা (NASA)। নাসাই প্রথম
চাঁদের বুকে মানুষের পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৯৭২
সালের মধ্যে মোট বারোজন নভোচারী চাঁদের বুকে হেঁটে বেড়িয়েছেন।
তাদের এইসব অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী আমরা প্রায়ই শুনি কিন্তু চাঁদের কোন
গল্প আমরা তেমন একটা শুনতে পাই না। নাসার উৎক্ষেপিত মহাকাশযান অ্যাপোলোর
নভোচারীরা চাঁদের বুক থেকে কিছু কেচ্ছাকাহিনী আমাদের জন্যে নিয়ে এসেছেন।
এবার আমরা সেই কেচ্ছাই জানবো। নভোচারীরা চাঁদে পা রাখার আগে বিজ্ঞানীদের
মনে নানারকম প্রশ্ন ছিলো। যেমন, চাঁদের বয়স কত? চাঁদ এসেছে কোত্থেকে ?
চাঁদের বুকে অমন উজ্জ্বল আর কালো দাগ কে বানালো?
চাঁদের উচুঁ ভূমি (উজ্জ্বল এলাকা) গুলোকে একসময় বিশাল বিশাল পাহাড়
পর্বত বলা হলো এবং গোলাকার গর্তগুলোকে, বলা হতো আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ।
আসলে এই সব পাহাড় পর্বত আগ্নেয়গিরির কারণে তৈরি হয়নি। গ্রহাণু ও উল্কার
সাথে ক্রমাগত চাঁদের সংঘর্ষের কারণে এসব তৈরি হয়েছে। চাঁদের জীবনকালের একটা
সময় ওতে প্রচুর উল্কাপাত হয়েছে। উল্কাপাতের কারণে চাঁদের গায়ে তৈরি হয়েছে
বিশাল বিশাল সব গোলাকার বাটির মতো গর্ত। চাঁদের নিজস্ব পাথর উল্কাপাতের
কারণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে। ওই একই জায়গায় পুণরায় উল্কাপাত যখন হয়েছে
তখন ভাঙা টুকরোগুলো প্রচন্ড উত্তাপে গলে গিয়ে এক হয়ে তৈরি করেছে নতুন পাথর।
বিজ্ঞানীরা এই সময়টার নাম দিয়েছেন ‘হেভি বম্বার্ডমেন্ট পিরিয়ড’। তাদের
বক্তব্য হচ্ছে, এ সময় শেষ হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন বছর আগে। এই সময়ের বিষয়টা
কিন্তু বিজ্ঞানীরা আন্দাজ করে বলেননি, চাঁদ থেকে আনা পাথর বিশ্লেষণ করেই
তবে বলেছেন।
কালো সমতল ভূমিঃ
আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদে যে কালো কালো ছোপ দেখি তা ইচ্ছে চাঁদের সমতল ভূমি। হেভি বম্বার্ডমেন্ট পিরিয়ডের একেবারে শেষের দিকে এই সমতল ভূমি সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঐ সময় গ্রহাণু বা উল্কার সাথে মারাত্মক সব সংঘর্ষ হয়েছিলো। এ সংঘর্ষের ফলে চাঁদের বুকে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল সব গোলাকার ক্ষত। তখন চাঁদের একেবারে ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে গলিত লাভা। এই গলিত লাভা চাঁদের বিশাল গোলাকার ক্ষত পূরণ করেছে গলিত, আগুনের লাভা একসময় শীতল হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে সমতল ভূমি।
আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদে যে কালো কালো ছোপ দেখি তা ইচ্ছে চাঁদের সমতল ভূমি। হেভি বম্বার্ডমেন্ট পিরিয়ডের একেবারে শেষের দিকে এই সমতল ভূমি সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঐ সময় গ্রহাণু বা উল্কার সাথে মারাত্মক সব সংঘর্ষ হয়েছিলো। এ সংঘর্ষের ফলে চাঁদের বুকে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল সব গোলাকার ক্ষত। তখন চাঁদের একেবারে ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে গলিত লাভা। এই গলিত লাভা চাঁদের বিশাল গোলাকার ক্ষত পূরণ করেছে গলিত, আগুনের লাভা একসময় শীতল হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে সমতল ভূমি।
চাঁদ থেকে আনা বিভিন্ন পাথর বিজ্ঞানীদের মধ্যে কিন্তু বেশ বিভ্রান্তিও
ছড়িয়েছে। চাঁদের উচুঁ ভূমি থেকে যেসব পাথর সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, ওতে ফেল্ডস্পার নামের এক খনিজ পদার্থ পরিমাণে
অসম্ভব রকম বেশি। ঠিক কী কারণে হালকা ধরণের এই খনিজ পাথরের উপরিভাগে এসে
নিখুঁতভাবে জমা হয়েছে তা কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানতে পারেননি। তবে তারা একটা
ধারণা করে নিয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, হেভি বম্বার্ডমেন্ট পিরিয়ড শুরু হবার আগে পুরো
চাঁদ গলিত পাথরের এক সমূদ্রে ঢাকা ছিলো। গলিত পাথরের সমুদ্র বিজ্ঞানীদের
ভাষায় ‘ম্যাগমা সমুদ্র’। এই ম্যাগমা সমুদ্রের তারল্যের কারণে ফেল্ডস্পারের
মতো হালকা খনিজ এসে উপরিভাগে জমা হয়েছে।
ম্যাগমা সমুদ্র যখন শীতল হয়ে জমে গেছে তখন ফেল্ডস্পার রয়ে গেছে উপরে। এ কারণেই চাঁদের ধূলোবালিতে ও পাথরের উপরিভাগে এর প্রাধান্য বেশি।
ম্যাগমা সমুদ্র যখন শীতল হয়ে জমে গেছে তখন ফেল্ডস্পার রয়ে গেছে উপরে। এ কারণেই চাঁদের ধূলোবালিতে ও পাথরের উপরিভাগে এর প্রাধান্য বেশি।
চাঁদের জন্মঃ
হেভি বম্বার্ডমেন্ট এবং ম্যাগমা সমুদ্র এই দুটি ধারণা প্রবর্তনের পর
বিজ্ঞানীরা চাঁদের জন্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছেন। চাঁদে
অ্যাপোলোর মিশন শুরু হবার আগে চাঁদের পথপ্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞানীরা তিনটি
পৃথক ধারণা দেবার চেষ্টা করেছিলেন। কোন ধারণাই চাঁদ সম্পর্কে উত্থাপিত সকল
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। ধারণা তিনটি এরকমঃ
কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় যে, পৃথিবীর মতো ছোট একটা গ্রহ কি চাঁদের মতো অতোবড় একটা জিনিসকে আটকে রাখতে পারে?
২. চাঁদ ও পৃথিবী একই ঘূর্ণায়মান পাথর ও ধুলোর মেঘ থেকে তৈরি হয়েছে।
এক্ষেত্রে সমস্যা হলো এই যে, একই যদি উৎস হবে, তাহলে চাঁদের পৃথিবীর মতো এতো ভরযুক্ত এবং গভীর অভ্যন্তরে দেশ নেই কেন?
৩. পৃথিবীর একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে তৈরি হয়েছে চাঁদ। একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হবার কারণ পৃথিবীর তীব্র ঘূর্ণনশক্তি।
মজার বিষয় হলো ঘূর্ণনশক্তির তীব্রতার কারণে যদি চাঁদের জন্ম হয় তবে পৃথিবীতে আজও সেই ঘূর্নণশক্তি থাকার কথা। তা কিন্তু নেই।
ভয়াবহ সংঘর্ষ তত্ত্বঃ
চাঁদের জন্ম সম্পর্কে চতুর্থ একটি তত্ত্ব দেয়া হয়। এই তত্ত্বানুযায়ী,
পৃথিবী যখন বয়সে তরুণ তখন মঙ্গল গ্রহের আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত
করে। এ আঘাতে আগন্তুক সেই গ্রহাণু পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং মহাশূন্যে
বিপুল ধূলোবালি উৎক্ষিপ্ত হয়। এর কিছু অংশ পৃথিবীর টানে পৃথিবীর চারপাশেই
থেকে যায়। এবং পরবর্তীতে এসব মিলে তৈরি হয়েছে চাঁদ।
অ্যাপোলোর কার্যক্রম শুরু হবার পর ভয়াবহ সংঘর্ষ তত্ত্ব হালে পানি পাওয়া
শুরু করে। হেভি বম্বার্ডমেন্টের কারণে যে গর্ত চাঁদে পাওয়া গেছে তা হয়তো
একসময় পৃথিবীতেও ছিলো এবং পরবর্তী ভয়াবহ সংঘর্ষে চাঁদের ম্যাগমা সমুদ্র
তৈরি হবার মতো তাপ উৎপন্ন হয়েছিলো। এবং এ সংঘর্ষ পৃথিবীকে তার অক্ষের উপর
একটু বাঁকা হয়ে ঘূর্ণন গতি প্রদান করেছে। সেই মঙ্গল গ্রহের সমান জিনিসটার
কিন্তু অংশ হয়ে গেছে। পৃথিবীর একাংশ এবং তাতে করে পৃথিবীর গভীর ও নিরেট
অভ্যন্তরভাগ তৈরি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া চাঁদে এ ঘটনা ঘটেনি তাই
চাঁদের ঘনত্ব কম।
অ্যাপোলোর কার্যক্রম চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ভাবনা বদলাতে সাহায্য করেছে। আগে চাঁদ আমাদের কাছে ছিলো রহস্যময় এক জিনিস। আর এখন আমরা জানি, ওই চাঁদ একদিন পৃথিবীরই একটা অংশ ছিলো।
অ্যাপোলোর কার্যক্রম চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ভাবনা বদলাতে সাহায্য করেছে। আগে চাঁদ আমাদের কাছে ছিলো রহস্যময় এক জিনিস। আর এখন আমরা জানি, ওই চাঁদ একদিন পৃথিবীরই একটা অংশ ছিলো।
রহস্যের ফ্লাইং সসার – UFO
পৃথিবী, গ্রহ, উপগ্রহ সবই এক একটি অজানা
রহস্যের ভান্ডার। বতর্মান আধুনিক বিশ্বে এসেও এমন অনেক বিষয় আছে যা অজানা
রহস্যে আবৃত। যার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথার চুল পড়ে
যাচ্ছে কিন্তু সেসব অজানা রহস্যের কোন কূল কিনারা করতে পারছেনা। বতর্মান
বিশ্বের তেমনই একটি রহস্যাবৃত, অনুদঘাটিত বিষয় হচ্ছে ইউএফও বা ফ্লাইং
সসার। UFO আকাশে উড়ন্ত অদ্ভূত রহস্যময় এক ধরনের অচেনা বস্তু। এটি পৃথিবীর
বিভিন্ন স্থানে বহুবার দেখা গেছে।
মানব পরিচিত পৃথিবীর কোন বস্তুর সাথে এর
মিল নেই। মহাকাশে উড়ন্ত অচেনা এই বস্তু নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, কিন্তু
তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের পক্ষে এই রহস্য উদঘাটন করা আজও সম্ভব হয়নি।
ফ্লাইং সসার নিয়ে সাধারন মানুষের ও কৌতুহলের শেষ নেই।
UFO শব্দের পূর্ণরুপ হচ্ছে Unidentified
Flying Object. বাংলায় এর অর্থ অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু যা ফ্লাইং সসার নামে
পরিচিত। এটি বিভিন্ন আকৃতির হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি চাকতির মতো ও
দেখতে উজ্জ্বল। এগুলো হোভারক্রাফট এর মতো খাড়া হয়ে ভূমিতে অবতরণ করতে
পারে এবং অতি দ্রূত মানব দৃষ্টি থেকে অদৃশ্যও হতে পারে। এগুলোর গতিবেগ এতো
বেশী যে, মানব আবিস্কৃত কোন যানই এর নাগাল পায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে করা
হয়, UFO খুব শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র তৈরী করতে পারে এবং যে কোন
বৈদ্যুতিক কৌশলকে অকাযর্কর করে দিতে পারে। আধুনিক যুগে এটাকে ভিনগ্রহীদের
উন্নত আকাশযান হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু এগুলো কোথা থেকে বা কিভাবে আসে
তা পৃথিবীবাসীর কাছে এখনো অজানা। ফ্লাইং সসার গতিপ্রকৃতি থেকে বুঝা যায়,
এসব যান অন্য গ্রহ হতে আগত। ওরা পৃথিবীবাসীর সাথে যোগাযোগ করতে ও অবস্থা
নিরিক্ষণ করতে আসে। সম্ভবত ওরা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পৃথিবীবাসীর থেকে অনেক
বেশী উন্নত। ধারনা করা হয়, ওরা পৃথিবীবাসীর সাথে যোগাযোগ করতে আসে কিন্তু
তাদের সাথে আমাদের প্রকৃতি ও প্রযুক্তিগত ব্যবধানের কারনে তাদের প্রেরিত
বার্তা আমরা ধারন সক্ষম হই না।
পোস্টটি লিখেছেন আমারস্পট টিম
উড়ন্ত সসার নামের এই রহস্যময় বস্তুটি
পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ বহুবার প্রত্যক্ষ করেছে, তারমধ্যে খোদ আমেরিকার
প্রেসিডেন্টও রয়েছেন। ১৯৬৬ সালে এটি স্বচক্ষে দেখেছেন আমেরিকার ১০ হাজারের
মতো মানুষ। এরপর চীনেও হাজার হাজার মানুষ স্বচক্ষে দেখেছেন বহু সংখ্যক
ফ্লাইং সসার। এছাড়া বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানের আকাশে উড়ে যেতে দেখা
গেছে রহস্যময় ফ্লাইং সসার। সবর্শেষ গতবছর অর্থাৎ ২০১০ সালে জাপানে রাতের
আকাশে উড়ে যেতে দেখা গেছে UFO।
আপনারা ছবিতে চাকতির মতো যে জিনিস গুলো
দেখছেন এই গুলোই ফ্লাইং সসার। কল্পিত হলেও তা দেখতে এরকমই। UFO আজ পযর্ন্ত
পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যাবৃত অজানা বস্তু হিসেবে গণ্য হয়েছে। এসব বিভিন্ন
দেশে সময়ে সময়ে হঠাৎ দেখা যায়। এটি বারবার মানুষের নাগালের বাইরে
অবস্থান করে। পৃথিবীর সবোর্চ্চ গতিশীল বিমানও এর গতিকে অতিক্রম করতে
পারিনি। কয়েকবার দ্রুত গতির বিমান চালিয়ে তাদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা
করেও ব্যর্থ হয়েছে। এপযর্ন্ত একই সাথে সবোর্চ্চ ১৪টি ফ্লাইং সসার দেখা
গেছে। UFO এর বুদ্ধিবৃত্তিক গতিবিধি থেকে বুঝা যায়, এসব ভিনগ্রহী
বুদ্ধিমান প্রাণী দ্বারা পরিচালিত হয়। ওরা মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে আসে
কিন্তু কোন ধরনের সাড়া না পেয়ে ফিরে যায়।
ufo
ফ্লাইং সসার পৃথিবীতে আগমন ধীরে ধীরে কমে
আসছে। মানুষের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে বা মানুষের ভীতিকর পরিস্থিতি
অবলোকন করে সম্ভবত তারা পৃথিবী সফরে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। আমাদের চেয়ে তাদের
প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় মূলত আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছি।
১৯৬০ সালে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা দাবী করেন, তারা একটি তারকা থেকে রেডিও
সিগনাল পেয়েছেন কিন্তু এরপর আর কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। আজ আবধি
বিজ্ঞানীরা UFO নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করা গেলে
হয়তো নতুন নতুন বিষয় বা নতুন কোন পৃথিবী সম্পর্কে জানা যেত। তারা আমাদের
এখানে আসছেন আবার আমাদের কোন সাড়া না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এটা অবশ্যই
আমাদের ব্যথর্তা। আশাকরা হয় অতিশীঘ্রই মনূষ্য জগত থেকে UFO দের সাথে
যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। (ভুয়া কথা)
পূর্বে প্রকাশিত ==>> এখানে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন