আজব দুনিয়া

মানব না দানব লি লিয়ন! 

 

সুইজ্যারল্যান্ডের বনে এক দশক ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে রহস্যময় একজন। সে আসলে মানব না দানব তা নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রথমবারের মতো তার একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। ছবিতে দেখা যায়,তার পরনে সামরিক বাহিনীর জলপাই রংয়ের পোশাক, একটি মোটা জোব্বা, মুখে তার গ্যাস মাস্ক।
অদ্ভুত চরিত্রের এ অধিকারী ‘লি লিয়ন’ নামে পরিচিত।
তার সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে সুইস পুলিশ। তাকে দেখে যেন কেউ ভয় না পায়, সে ব্যবস্থা করার চেষ্টায় আছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
বছর দশক ধরে লি লিয়নের গল্প সুইজ্যারল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের মৌলেস বণাঞ্চলের আশপাশের স্থানীয়দের মুখে মুখে চলে আসছে।
গত মাসে সুইজারল্যান্ডের দৈনিক লে মাটিন একটি ছবি প্রকাশ করে। ছবিটিতে সামরিক পোশাক পরিহিত হেঁটে যেতে একজনকে দেখা যায়। তাকেই মনে করা হচ্ছে, লি লিয়ন হিসেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারই প্রথম ক্যামেরায় ধরা পড়ে লি লিয়ন।
আলোকচিত্রী জানান, প্রায় ১২ মিটার দূর থেকে তিনি ছবিটি তোলেন। লম্বায় তিনি ১.৯০ মিটারের (৬.২৩ ফুটের বেশি) বেশি। বড় বড় চোখে ফিরে তাকালেন এবং নীরবে চলে গেলেন।
জানা যায়, গত বছরের জুনে লি লিয়নকে দেখতে পেয়েছিলেন এক স্থানীয়। ওই সময় লি লিয়নকে একগুচ্ছ ফুল তুলতে দেখেন তিনি। ম্যারিয়ানে ডেসক্লাউক্স নামের ওই স্থানীয় লে মাটিনকে জানান, বসন্তে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘সেদিন ছিল রোববার, বৃষ্টি পড়ছিল। তার মাথায় টুপি, পরনে একটি কালো জোব্বা এবং মুখে গ্যাস মাস্ক।’
এছাড়া অনেকেই দাবি করেছেন, অদ্ভুত চেহারার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের ভয় দেখিয়েছে লি লিয়ন। অনেক নারী বনে একা যেতে ভয় পান।
অনেকে বলেন, লি লিয়ন হতে পারেন মানসিকভাবে একজন অসুস্থ নারী, দৈত্যাকার এক মানব বা কর্দয ত্বক, সমস্যায় ভোগা কেউ।
আবার অনেকে বলেন, ইচ্ছা করেই বনবাস জীবন বেছে নিয়েছেন লি লিয়ন। তবে আসলে কী, সেটা এখনো জানা যায়নি।

 পূর্বে প্রকাশিত ==>> এখানে


আজব প্রাণী অ্যাক্সোলটল

 

 

 পোষাপ্রাণী হিসেবেও অ্যাক্সোলটলের তুলনা নেই। দারুণ জনপ্রিয়ও। দুটো বয়স্ক অ্যাক্সোলটলের জন্য নকল লতাপাতা, ঝোপ, বালু আর লুকানোর জায়গাসহ ২০-২৯ গ্যালন অ্যাকুয়ারিয়ামই যথেষ্ট। বাচ্চা একটা অ্যাক্সোলটলের জন্য ১০ গ্যালনের একটি অ্যাকুয়ারিয়াম যথেষ্ট হলেও বয়স্ক অ্যাক্সোলটলের জন্য সেটা একটু অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। ঠান্ডা ও কালো পানিতে অভ্যস্ত এই মাছকে খুব ঠান্ডা বা গরম কোনো পানিতেই রাখা উচিত না। সেক্ষেত্রে অ্যাকুয়ারিয়ামের উষ্ণতা হতে হবে ৫০ থেকে ৬৮ ডিগ্রি ফানেহাইটের মাঝামাঝি। ৭২ ডিগ্রির উপরের তাপমাত্রা অ্যাক্সোলটলকে মেরেও ফেলতে পারে। অ্যাক্সোলটলের লাফ দেওয়ার খ্যাতি আছে। তাই এটি পোষার ক্ষেত্রে অ্যাকুয়ারিয়ামের উপরে একটি প্লাস্টিকের শিট লাগিয়ে দেওয়া ভালো। অ্যাক্সোলটলের অ্যাকুয়ারিয়ামের পানি সবসময়েই অর্ধেক রাখতে হবে।
 
 

একটি সুস্থ অ্যাক্সোলটলের থাকার জায়গায় থাকতে হবে অ্যাকুরিয়াম বালু। কখনও সেখানে পাথর বা নুড়ি রাখা যাবে না। নাহলে সেসব নুড়ি মাছের পেটে আটকে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি করবে। অ্যাকুয়ারিয়ামে লুকানোর যথেষ্ট জায়গা, যেমন-- কমলা রংয়ের ছোট ফুলের পট, পিভিসি পাইপ, সবুজ গাছ, নকল গুহা ইত্যাদি থাকতে হবে।
অ্যাক্সোলটলের পক্ষে উজ্জ্বল আলো ক্ষতিকর। এ জন্য কম আলোর বাল্বের পাশাপাশি নকল ঝোপ দিতে হবে অ্যাকুয়ারিয়ামে। মাঝেমধ্যে অন্ধকারে রাখলেও কখনও ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি রাখা যাবে না ।


অ্যাক্সোলটলের সঙ্গে অন্য প্রজাতির কোনো মাছ রাখা ঠিক নয়। অ্যাকুয়ারিয়ামে সবসময় একই বয়সের দুটি অ্যাক্সোলটল রাখতে হবে। নইলে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলবে।
অ্যাক্সোলটল পরিষ্কার আর শান্ত পানি পছন্দ করে। বাবল বা ঢেউ, কোনোটাই এদের জন্য ভালো নয়। তাই ঢাকনাযুক্ত পাত্রই এদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। পরিষ্কার পানির জন্য ওদের থাকার জায়গাও নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। কেবল অ্যাকুয়ারিয়ামে পানিভর্তি করে রেখে দিলেই এই প্রজাতির উভচর পোষা সম্ভব নয়। এটি পুষতে দরকার আলাদা কিছু ব্যাপার জানা।
 
 

এদের খাবার ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। ব্লাডওয়ার্ম আর ছোট চিংড়িমাছই অ্যাক্সোলটলের জন্য উপযুক্ত খাবার। বয়স্ক মাছকে ২-৩ দিন পরপর খাবার দিলেও ছোট অ্যাক্সোলটলকে প্রতিদিনই খাওয়াতে হবে।
৬ থেকে ৯ ইঞ্চি হওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যাক্সোলটল বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে না। বাচ্চা উৎপাদনে সক্ষম মাছের পায়ের পাতা ময়লা হয়ে যায়। ঠোঁট লাল রং ধারণ করে। একবারে একটি মেয়ে অ্যাক্সোলটল এক হাজার ডিম দেয়।
পোষাপ্রাণী হিসেবে অ্যাক্সোলটল খুবই বন্ধুপ্রবণ। তারা কাছের মানুষগুলোকে চিনতে ও তাদের খুব সহজেই ভালোবাসতে পারে ।
পূর্বে প্রকাশিত ==>> এখানে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Visit Siam's profile on Pinterest.

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Facebook

Ads